সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ধর্ষনের দায়ে দন্ডিত মজনু বললেন ‘আমাকে ছাইড়া দেন, আমি ঢাকাই আর আসমু না’

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

‘আমারে ছাইড়া দেন, ঢাকায় আর আসমু না, বাড়ি চইলা যামু, আমারে ছাইড়া দেন’।এভাবেই চিৎকার করে নিজের বিষয়ে বলছিলেন রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসা‌মি মজনু। পরে এ মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করে আদালত।

ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনা‌লের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার বৃহস্পতিবার দুপুরে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।তার আগে আসামি মজনুকে বেলা ২টার দিকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসার পর উপস্থিত সবাইকে তিনি ‘ছেড়ে দেওয়ার’ আর্জি জানাতে থাকেন।

আদালত কক্ষে নেয়ার পর চিৎকার করে তিনি আরো বলতে থাকেন, ‘আমি পাগল মজনু । আইজকা ছাইড়া দ্যান। আমারে মারছে। কাশিমপুরে মশা। আমারে কোনো কিছু খাতি দ্যায় নাই’।

আসামি মজনু এরপর কাঁদতে কাঁদতে কোর্ট হাজতের ওসির কাছে অভিযোগ জানাতে থাকেন এবং পুলিশ সদস্যদের গালাগাল শুরু করেন।

তার চিৎকার চেঁচামেচিতে বাধ্য হয়ে বিচারক সাংবাদিক ও উৎসুক আইনজীবীদের বাইরে বারান্দায় যেতে বলে শুধু জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের একজনকে এজলাসে থাকার অনুমতি দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্যামেরা দেখে আসামি সিন ক্রিয়েট করছে। বাধ্য হয়ে এখন রুদ্ধদ্বার কক্ষে রায় হবে’।

এর আগে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মজনু বলেছিলেন, ‘আমার মা ছাড়া পৃথিবীতে কেউ নেই। আমাকে মায়ের কাছে যাইতে দেন। আমি এই কাম করি নাই। আমারে ছাইড়া দ্যান’।

৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ঢাকার কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী। পরদিন তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।তিন দিন বাদে মজনুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

তদন্ত শেষে দুই মাস পর গত ১৬ মার্চ ডি‌বির প‌রিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক আদালতে অভিযোগপত্র দা‌খিল ক‌রেন। তাতে শুধু মজনুকেই আসামি করা হয়। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত তিনি জমা দেন আদালতে।

মজনুকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মজনুর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর, বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ায়। জীবিকার তাগিদে বছর দশেক আগে তিনি ঢাকা আসেন।

মজনুর বাবা মাহফুজুর রহমান মারা গেছেন আগেই। মা জীবিত থাকলেও বাড়ির সঙ্গে মজনুর কোনো যোগাযাগ নেই বলেও র‌্যাব জানায়।তিনি পেশায় দিনমজুর, হকার। পাশাপাশি তিনি ‘ছিনতাই, রাহাজানি, চুরির মত কাজেও’ জড়িত ছিলেন বলে র‌্যাবের ভাষ্য।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION